হো-হো-হো উররো হো-হো!
হো-হো-হো উররো হো-হো
উর্রো হো-হো
বাস্ কী মজা!
কে শুয়ে চুপ্ সে ভুঁয়ে,
নার্ছে হাতে পাশ কী সোজা!
হো-বাবা! ঠ্যাং ফুলো যে!
হাসে জোর ব্যাংগুলো সে
ড্যাং তুলো তার
ঠ্যাংটি দেখে!
ন্যাং ন্যাং য়্যাগ্গোদা ঠ্যাং
আঁৎকে ওঠায় ডান্পিটেকে!
এক ঠ্যাং তালপাতা তার
যেন বাঁট হাল্কা ছাতার!
আর পা’টা তার
ভিট্রে ডাগর!
যেন বাপ! গোব্দা গো-সাপ
পেট-ফুলো হুস্ এক অজাগর!
মোদোটার পিস্শাশুড়ি
গোদ-ঠ্যাং চিপ্সে বুড়ি
বিশ্ব জুড়ি
খিস্সা যাহার!
ঠে-ঠে ঠ্যাং নাক্ ডেঙা ডেং
এই মেয়ে কি শিষ্যা তাহার?
হাদে দেখ্ আসছে তেড়ে
গোদা-ঠ্যাং ছাঁৎসে নেড়ে,
হাস্ছে বেড়ে
বৌদি দেখে!
অ ফুলি! তুই যে শুলি
দ্যাখ্ না গিয়ে চৌদিকে কে!
বটু তুই জোর্ দে ভোঁ দৌড়,
রাখালে! ভাঙবে গোঁ তোর
নাদ্না গুঁতোর
ভিটিম্ ভাটিম্!
ধুমাধুম্ তাল্ ধুমাধুম্
পৃষ্ঠে,- মাথায় চাটিম্ চাটিম্!
‘ইতু’ মুখ ভ্যাম্চে বলে-
গোদা ঠ্যাং ন্যাংচে চলে
ব্যাংছা যেন
ইড়িং বিড়িং!
রাগে ওর ঠ্যাং নড়ে জোর
য়্যাদ্দেখেছিস্- তিড়িং তিড়িং!
মলিনা! অ খুকুনি!
মা গো! কী ধুক্পুকুনি
হাড়-শুগুনি
ভয়-তরাসে!
দেখে ইস ভয়েই মরিস্
ন্যাংনুলোটার পাঁইতারাকে।
গোদা-ঠ্যাং পুঁচকে মেয়ে
আসে জোর উঁচ্কে ধেয়ে
কুঁচ্কে কপাল,
ইস্ কী রগড়!
লেলিয়ে দে ঢেলিয়ে!
ফোঁস্ করে ফের! বিষ কী জবর!
ইন্দু! দৌড়ে যা না!
হাসি, তুই বগ্ দেখা না!
দগ্ধে না!
তোল্ তাতিয়ে!
রেণু! বাস্, রেগেই ঠ্যাঙাস,
বৌদি আসুন বোল্তা নিয়ে!
আর না খাপচি খেলো!
ওলো এ আচ্ছি যে লো,
নাচ্ছি তো খুব
ঠ্যাং নিয়ে ওর!
ব্যাচারির হ্যাঁস্-ফ্যাসানির
শেষ নেই, মুখ ভ্যাম্চিয়ে জোর!
ধ্যাৎ! পা পিছ্লে যে সে
পড়ে তার বিষ লেগেছে
ইস্! পেকেছে
বিষ-ফোঁড়া এক!
সে ব্যথায় ঠ্যাং ফুলে তাই
ঢাক হল পা’র পিঠ জোড়া দেখ্!
আচ্ছু! সত্যি সে শোন্
কারুর্ এক রত্তি সে বোন্,
দোষ নেই এতে
দোষ নিয়ো না!
আগে তোর ঠ্যাং ফুলে জোর,
তারপরে না দস্যিপনা!
আয় ভাই আর না আড়ি,
ভাব কর্ কান্না ছাড়ি,
ঘাড় না নাড়ি,
ক’সনে ‘উহুঁ’!
লক্ষ্মী! ধ্যাৎ, শোক কী?
ছিঁচ্-কাঁদুনে হস্নে হুঁ হুঁ!
ঊষাদের ঘর যাবিনে?
লাগে তোর লজ্জা দিনে?
বজ্জাতি নে
রাখ্ তুলে লো!
কেন? ঠ্যাং তেড়েং বেড়েং?
হাস্বে লোকে? বয়েই গেল!