বসন্তে কানন-রাজি সাজে নানা ফুলে,
নব বিধুমুখী বধূ যাইতে বাসরে
যেমতি; তবু সে নদ, শোভে যার কূলে
সে কানন, যদপিও তার কলেবরে
নাহি অলঙ্কার, তবু সে দুখ সে ভুলে
পড়শীর সুখ দেখি; তবুও সে ধরে
মূৰ্ত্তি তার হিয়া-রূপ দরপণে তুলে
আনন্দে! আনন্দ-গীত গায় মৃদু স্বরে!-
হে রম, অজ্ঞান নদ, জ্ঞানবান্‌ করি,
সৃজেছেন দাসে বিধি; তবে কেন আমি
তব মায়া, মায়াময়ি, জগতে বিস্মরি,
কু-ইন্দ্রিয়-বশে হব এ কুপথ-গামী?
এ প্রসাদ যাচি পদে, ইন্দিরা সুন্দরি,
দ্বেষ-রূপ ইন্দ্রিয়ের কর দাসে স্বামী।

(৬৮)