দিদিমণি

দিদিমণি আঁট করে দিলে মোর দিন,
এক করে দিলে যেন ছিল যেটা তিন।
প্রহরে প্রহরে সব নিয়মেতে বাঁধা,
ডাক্তারি ফাঁদে এই জীবনটা আগাগোড়া ফাঁদা।
সারি সারি ওষুধের শিশি
খাড়া আছে তর্জনী তুলে দিবানিশি।
যদি তারি কোনো ফাঁকে তবু
সুস্থ লোকের চালে চলিতে সাহস করি কভু
চোখে তবে পড়ে সেটা তোমার তখুনি,
স্পর্ধা মানিয়া লয়ে চুপ করে শুনি যে বকুনি।
গ্ল্যাক্সো খাওয়াও তুমি গুনে গুনে চামচেতে মেপে,
বই খুলে বসি যদি দাও সেটা চেপে।
বলে, ‘পড়া থাক্-না!’
দিনটাকে ঢেকে রাখে সেবা-গাঁথা ঢাক্না।।

স্নানে গেছ, সেই ফাঁকে খাতা
টেনে নিয়ে লিখি এই যা’-তা’।
মিথ্যার রসে মিশে সত্যটা হলে উপাদেয়,
সাহিত্যে সেটা নয় হেয়।
গদ্যে যাহারে বলে মিথ্যে
সেটাই যে ছন্দের নৃত্যে
সত্যেরও বেশি পায় দাম-
এ কথাটা লিখে রাখিলাম।।

১৯৪০-৪১