স্বয়ংক্রিয় বৈদ্যুতিক কৃষ্ণচূড়া

এই যে এখন বসে আছি যে টেবিলে
সামনে রাখা সাজিয়ে নিপুন বইএর সারি
একটু ডানে জলরঙে কাঁচ কলমদানী
দুইটি কলম একটি গাঢ় রাত্রি কালো
অন্যটি বেশ হালকা চমক সোনালি রং।

দুদিন পরেই এই টেবিলটি পুরোনো হবে
এসব কিছুই অচেনা হবে চিনতে গিয়ে
ভুল কোরবো স্মৃতির চশমা উল্টে যাবে।

এই যে এখন আলুথালু মাতাল মাতাল
বইছে বাতাস ফুলগুলো সব তারার মতো
জ্বলছে নিখুঁত- দুদিন পরেই এসব আবার
অচেনা হবে চিনবো না আর কোনোদিনও।

আজ সকালের সবচে’ দামী খবরে কাগজ
দুপুরখানা না গড়াতেই সবার থেকে
সস্তা হবে ভাল লবনের প্যাকেট হবে।

এই শহরের বাড়িগুলো ফি বছরই
হোয়াইটওয়াসে দীপ্ত হবে আমার কাছে
প্রতিবারই নতুন করে অচেনা হবে।

কিন্তু তোমায় কোনোদিনই পুরোনো কিংবা অচেনা হলে
যাবে না বলা একমাত্র তুমিই শুধু চিরদিনই
থাকবে নতুন;
চেনা পথের দরোজা দিয়েই
তোমার কাছে আসবো যাবো; আসবো যাবো-
শুধুই যাবো।