কবি দেবেন্দ্র

শামার শিশে সুরের স্তবক হেন
প্রাণ ছিল যার গানের উছাস-ভরা,
কণ্ঠ তাহার হঠাৎ নীরব কেন,
শিউলি-বীথির শেষ বুঝি ফুল-ঝরা।

বাজ্ল কখন বিসর্জ্জনের বাঁশী,
আঁধার এল মুগ্ধ আঁখির ‘পরে;
গোলাপ যখন ফুট্ছে রাশি রাশি
গোলাপ-ফুলের ভক্ত গেল মরে’!

মিলিয়ে গেল মরণ-হারা গানে;
ঝর্ণা হ’ল হঠাৎ গতিহারা;
যম নিয়মের তপ্ত মরুস্থানে
হারিয়ে গল সরস্বতীর ধারা।

প্রাণের ভাঁড়ার উঠ্ছে রিক্ত হ’য়ে,
সিক্ত হ’য়ে উঠ্ছে আঁখির পাতা,
একে একে বৈতরণীর তোয়ে
ডুব্ছে মাণিক; হচ্ছে নীরব গাথা।

দরাজ প্রাণের সেই হাসি আজ খুঁজি,
গান গাওয়া সেই তেম্নি দরাজ সুরে;
“দরদী নেই তেমন দরের বুঝি”
– শোকের হাওয়ায় রক্ত-অশোক ঝরে।