ভবে চিনলে না কেন তারে

ভবে চিনলে না কেন তারে
যে জন বসি দিবানিশি খেলা করে হৃদ্‌মাঝারে।।

হাসে কাঁদে নাচে গায় হু হু শব্দে বাঁশি বাজায়
আসা-যাওয়া করে সদায় ত্রিবেণির লহরে
যদি সাধনবলে যেতে পার শ্রীকলার বাজারে
দেখবে রে তোর মনের মানুষ ত্রিবেণিতে নড়েচড়ে।।

পাঁচ-পাঁচা-পঁচিশের তত্ত্ব চিনে জেনে হও না মত্ত
দমের গাড়ি অবিরত চালাও নামের জোরে
ডাকেতে যার ফাঁক পড়ে না প্রেমিক বলে তারে
মদনের পঞ্চবাণ বেধে রেখো প্রেমডোরে।।

শ্রীনগর ফুলবাগানে ফুটছে ফুল অতি সন্ধানে
ভ্রমরা আসে গোপনে দেখবে নয়ন ভরে
উপাসনায় মন হবে লিপ্ত দেখবি যখন তারে
ঘুচবে ভ্রান্তি হবে শান্তি রবে না আর অন্ধকারে।।

আলিফ্ দাল্‌ মিম্ করো পাচান স্বরূপে রূপ হয় বর্তমান
স্বরূপেতে করো ধ্যান বসে ভাবের ঘরে
ধরায় যে জন পড়েছে ধরা তুমি ধরো তারে
নিরাকারকে দেখবে সাকার স্বরূপে রূপ মিশলে পরে।।

ম্লানবদনে ফুটবে হাসি হয় যদি সে মনোবাসী
হতে চাই না স্বর্গবাসী চাই যে শুধু তারে
কিঞ্চিৎ নয়নে যদি বন্ধে দয়া করে
স্বদেশে বিদেশে লোকে কউক মন্দ আবদুল করিমরে।।

(দেহতত্ত্ব)