কালনীর ঢেউ
এটি বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিম-এর একটি গীতিগ্রন্থ যা ১৯৮১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে (আশ্বিন, ১৩৮৮ বঙ্গাব্দ) সিলেটের জিন্দাবাজারে মেহেরাবাদ প্রেস থেকে প্রথম প্রকাশিত হয়। কবি তাঁর সর্বশেষ সম্বল নয় বিঘা জমি বিক্রয় করে বইটি প্রকাশ করেন যা বইটির প্রতি তাঁর অকৃত্তিম ভালোবাসা বহন করে। এর প্রকাশক ছিলেন তার পুত্র শাহ নূরজালাল (বাবুল)। গানগুলোকে 'আত্মপরিচয়', 'আল্লা স্মরণ', 'নবি স্বরণ', 'ওলি স্মরণ', 'মুর্শিদ স্মরণ', 'ভক্তিগীতি', 'দেহতত্ত্ব', 'মনমানুষের সন্ধানে', 'মনঃশিক্ষা', 'নিগূঢ়তত্ত্ব', 'সারি গান', 'বিচ্ছেদ', 'প্রণয়গীতি', 'আঞ্চলিক', 'হাওর এলাকার গান' ও 'দেশের গান' ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। কবির জীবদ্দশায় ২০০৯ সালের ৩ এপ্রিল বইটির চতুর্থ সংস্করণ বের হয়েছে। এতে মোট গান ছিলো ১৬৬টি।
সূচীপত্র
- কেউ বলে শাহ আবদুল করিম কেউ বলে পাগল
- মুর্শিদ মৌলা বক্স মুন্সি, দয়ার ঠাকুর
- সয়ালের দয়াল বন্ধু রে
- রাখ কি মার এই দয়া কর
- তুমি বিনে মনের বেদন কারে কই
- খুঁজিয়া পাইলাম না রে বন্ধু তুমি কোথায় থাক
- নাম সম্বলে ছাড়লাম তরী
- নবি এসে দয়া করে
- ওগো পাতকীর কাণ্ডারি
- কে যাও রে সোনার মদিনায়
- নবি এসে ঘুচালেন আঁধার
- নাম নিলে হয় মন পবিত্র অন্তিমে কল্যাণ
- ফুল ফুটিল বুগদাদে বুগদাদে
- খাজা তোমার প্রেমবাজারে
- শাহজালাল বাবার দোয়াতে
- মুর্শিদ বিনে এ ভুবনে কেউ নাই আপনা
- মুর্শিদ ধন হে, কেমনে চিনিব তোমারে
- দয়াল মুর্শিদ, তুমি বিনে
- মুর্শিদ ও, জীবনও ভরিয়া
- মুর্শিদ আমারে কর পার
- প্রাণের প্রাণ মুর্শিদ আমার মৌলা বক্স নাম যাহার
- দীনবন্ধু রে, ওরে বন্ধু দয়াল নামটি ধরো
- বন্ধু রে, কাঙালে কি পাইবে তোমারে
- সোনা বন্ধুয়া ও, অপরাধী হলেই আমি যাব কার ধারে
- বন্ধুয়া রে, তুমি আমারে দিও না ফাঁকি
- পাপীর আশা পুরাইবায় নি তুমি
- আল্লাহু আল্লাহু আল্লাহু, হক নাম তোমারি
- তুমি আমার প্রাণসখা
- আজব রঙের ফুল ফুটেছে
- মন তুই দেখ না খুঁজে দেহের মাঝে
- ও মন খুঁজলে না রে মন দেখলে না রে
- রঙিলা বাড়ই রে, তুমি নানান রঙের খেলা খেলো
- ভবে চিনলে না কেন তারে
- সাধন করো রে অভ্যাসে
- আমি তোমার কলের গাড়ি তুমি হও ড্রাইভার
- আগের বাহাদুরী এখন গেল কই
- হাওয়ার পাখি ভরা আমার
- কই থেকে আইলাম কই বা যাইতাম
- মানুষ যদি হইতে চাও কর মানুষের ভজনা
- মনের মানুষ অতি ধারে
- মানুষ হলে মানুষ মিলে নইলে মানুষ মিলে না
- মানুষ হয়ে তালাশ করলে মানুষ পায়
- মানুষে মানুষ বিরাজে খোঁজে যে জন সেই পায়
- ভাবছ কি মন পির বিনে নবিরে পাওয়া যায়
- গুরুর বাক্য লও রে মন বিষয়টা মধুর
- আশেকের রাস্তা সোজা
- জ্ঞান হইল নুরের আলো অজ্ঞানতা অন্ধকার
- রমজানের চান যে জন দেখেছে
- কলেমা নামাজ রোজা হজ্ব যাকাতে ইমানদার
- আগে তোর মন ভালো কর
- ভেদ বুঝিয়া পড়ে নামাজ মমিনে
- মন আমার যায় না সুপথে
- কেন মন মজিলে রে মিছা মায়ায়
- মন রে পাগল ও মনা তুমি কার ভরসা করো
- এমন এক রঙের দেশ আছে
- মেয়েরূপী ফুল ফুটেছে বিশ্ববাগানে
- শুনবে কি বুঝবে কি ওরে মন ধুন্ধা
- এ সংসারে জুয়া খেলা হারজিতের কারবার
- নেশাপুরে এসে আমি হয়ে গেলাম নেশাখোর
- সোনার যৌবন আমার বিফলে গেল
- যৌবন রে, ঠেকছি তোরে লইয়া রাখব কী করিয়া
- কাম নদীর তরঙ্গ দেখে করে ভয়
- সাঁতার না জানিয়া জলে দিও না সাঁতার
- পাই না তোমার ঠিক-ঠিকানা
- গান গাইতে হইলে পড়ে যন্ত্রের প্রয়োজন
- আমরা ধন্য গাইয়া যাই
- নাও বানাইল নাও বানাইল রে
- কোন মেস্তরি নাও বানাইল কেমন দেখা যায়
- মহাজনে বানাইয়াছে ময়ূরপঙ্খি নাও
- হাওয়ায় দৌড়ে রে আমার ময়ূরপঙ্খি নাও
- নৌকা বাইও সাবধান হইয়া রে মাঝি ভাই
- মনমাঝি ভাই বাও রে নৌকা যাইও না রে পথ ভুলে
- মনমাঝি তুই হইস নারে বেভুল
- আল্লাহর নাম নবির নাম লইয়া রে
- ও মনমাঝি রে, কিনারা ভিড়াইয়া রে বাইও নাও
- অকূল নদীর ঢেউ দেখে ডরাই
- ঝোঁক বুঝিয়া ছাড় নৌকা বেলা বয়ে যায়
- গান শুনিয়া চমকে উঠে প্রাণ
- আমার নাম কে তোরে শিখাইল রে ওরে বাঁশি
- ও রঙিলা নাইয়া রে রঙে বৈঠা বাইয়া রে
- ভাবিলে কী হবে গো যা হইবার তা হইয়া গেছে
- সখি রে, মন থাকে না ঘরে বন্ধুর বাঁশির সুরে
- বসন্ত বাতাসে ও সই গো বসন্ত বাতাসে
- সখি কুঞ্জ সাজাও গো
- পরান কান্দে বন্ধুয়ার পানে চাইতে
- বন্ধুয়া রে, কুলমান সঁপিলাম তোমারে
- বন্ধুয়া রে, যত দোষী তোমার লাগিয়া
- তোমার পিরিতে বন্ধু রে, বন্ধু কী হবে না জানি
- বন্ধু রে, কী বলব তোমারে, ছেড়ে যেও না দূরে
- কেন পিরিতি বাড়াইলায় রে বন্ধু ছেড়ে যাইবায় যদি
- কত দুঃখ সহিব তোর পিরিতে
- প্রাণ খুলিয়া প্রাণ বন্ধু রে
- আইলায় না আইলায় না রে বন্ধু করলায় রে দেওয়ানা
- বাঁচি না বাঁচি না রে বন্ধু পরানে বাঁচি না
- পিরিতি করিয়া রে গিয়াছ ছাড়িয়া রে
- আমি ফুল বন্ধু ফুলের ভ্রমরা
- আমার বন্ধুরে কই পাব গো সখী আমারে বলো না
- প্রেম শিখাইয়া সোনা বন্ধে ঠেকাইল পিরিতের ফান্দে
- কার কাছে যাব কারে জানাব
- বন্ধু বিনে একা ঘরে ভালো লাগে না
- প্রাণসখি রে
- প্রাণ জ্বলে মোর বিচ্ছেদের অনলে গো সখি
- হাত বান্ধিব পাও বান্ধিব মন বান্ধিব কেমনে
- প্রেম করিয়া সুখ হইল না পোড়া কপালে
- আসি বলে চলে গেল আর তো ফিরে এলো না
- তোমরা নি দেখেছো মনচোরা গো সখি তোরা
- সোনার অঙ্গ পুড়ে ছাই করিলাম গো কার লাগিয়া
- প্রাণবন্ধের পিরিতে সই গো কী জ্বালা হইল
- শ্যামলও সুন্দরও রূপ আমি যেদিন হইতে হেরি গো
- যে গুণে বন্ধু রে পাব সে গুণ আমার নাই গো
- যে দুঃখ অন্তরে গো সখি কওনও না যায়
- সখি গো বন্ধু রে দেখিবার মনে চায়
- মন কান্দে প্রাণ কান্দে গো, কান্দে আমার হিয়া
- পিরিতি মধুর মিলনে স্বর্গ শান্তি আসে
- পিরিতি কি সকলে জানে
- কলসি লইয়া কে গো জল ভরিতে যাও
- সখি তোরা প্রেম করিও না পিরিত ভালো না
- সরল তুমি শান্ত তুমি নূরের পুতুলা
- সরলা গো, কার লাগিয়া কী করিলাম
- শাহজালালের আবাস ভূমি সিলেট জেলা হয়
- ফুরু থাকতে যে খেইল খেলাইতাম
- যাও যদি আও দলে দলে উঠেছে বেলা
- আগে কী সুন্দর দিন কাটাইতাম
- চাল ছানিত্ কামলা চাচা দিলায় না
- খালি বাড়ি থইয়া নাইওর যাইতে দিব না
- ও বুবাইজি আমার দুঃখ কার ঠাঁই গো কইতাম
- ভালা মানুষ পাগল হইলাম
- লাউ কুমড়া লাগাইও গো, ওগো ভাবী সময় আইছে
- আল্লায় যেন কর্জের লাগি কেউর বাড়িত নেয় না
- রঙিন টাকা, ও রঙিলা টাকা রে
- আমি ঠেকলাম ভরের বুঝা লইয়া
- দিরাই থানায় বসত করি হাওর এলাকায়
- চৈত্র মাসে বৃষ্টির জলে নিল বোরো ধান
- গানের ভিতর প্রাণের কথা বলবার মনে চায়
- ওরে চাষি ভাই, শক্ত হাতে লাঙ্গল ধরা চাই
- ও ভাই জোর জুলুমি ছাড়ো
- জিজ্ঞাস করি তোমার কাছে বলো ওগো সাঁই
- ওরে মেলা দিতে জ্বালা কার মন্ত্রণা পাইলে
- দয়াময় নামটি তোমার গিয়াছে জানা
- ঈদ আসলে কি দুঃখ দিতে
- মনের দুঃখ কার কাছে জানাই মনে ভাবি তাই
- সালাম আমার শহীদ স্মরণে
- দারুণ দুর্ভিক্ষের আগুন
- কোন দেশে যাই বলো
- বলো ভোট দিব আজ কারে
- মোদের কেউ নাই রে কৃষক মজুর ভাই
- পল্লীগ্রামের কবি আমি পল্লীর গান গাই
- বলো স্বাধীন বাংলা মোদের
- বাংলা স্বাধীন হইল রে বীর বাঙালি ভাই
- আমি বাংলা মায়ের ছেলে
- এসো প্রাণ খুলে মিলে সকলে
- নাইয়া রে, বাংলার নাও সাজাইয়া যাব আমরা বাইয়া
- শোষক তুমি হও হুঁশিয়ার চল এবার সাবধানে
- খবর রাখনি
- কেবা শত্রু কেবা মিত্র
- গরিবের দুঃখের কথা
- গরিবের কী মান-অপমান দুনিয়ায়
- বেহেস্ত ধনীর জন্য রয় গরিবের নাই অধিকার
- ভোট দিবায় আজ কারে
- ধর্মাধর্ম নাই রে শোষকের নাই বিবেচনা
- মাগো আমি কিসে দোষী
- অভাবে পড়িয়া কাঁদে মনপাখি আমার
- কর্মফেরে বারে বারে ঘোর আঁধারে পড়ে যাই
- কৃষক মজুর পড়েছে ঘোর আঁধারে
- গরিব বাঁচবে কেমন করে কার কাছে তা জিজ্ঞেস করি
- অতীত বর্তমানে কি আর মিল আছে