নর্তকী

যেন নীলাভ শিখার মত নির্ভার
চপল ডানায় হাওয়া-লাগা দিগন্তলীন কোন পাখি
শূন্যতা গেঁথে নেয় নানান বিন্যাসে
শিল্পিত জীবন বাজে সংঘাতে সংঘাতে
অর্থহীনতার পরপারে, দুইটি নৈর্ব্যক্তিক নূপুরে

সব স্মৃতি-বিস্মৃতি, নৈঃসঙ্গ-নির্বেদ
ছন্দিত ঘূর্ণির রেখায় নিথর ঘাঘরার মত
যুগপৎ নৃত্যরত এবং সুস্থির,
প্রত্যেক চরণাঘাতে মুহূর্ত জ্বলে ওঠে গোলাপপুঞ্জের মত,
যার মারাত্মক দ্যুতি পান করে নিঃসঙ্গ আত্মা লোটায়
অস্তিত্বের অন্তহীনতায়
যেখানে গলে-যাওয়া ব্যাঙের শব মরাল-পঙক্তির মত ওড়ে
আর মাংস গুঞ্জরিত হয় নীলিমার আশ্লেষে

যেন সমুদ্রোচ্ছ্বাস তার বাহুতে, কটিতে
জঙ্ঘার আলোড়নে, নিতম্বের তৃষ্ণার্ত তরঙ্গে
তরোয়ালের মত কিংবা তীক্ষ্ণ ধারালো চাঁদের মত
চোখের আঁধারে ঐ স্বর্গের ডাইনী যেন গতির পুলকে
কী তীব্র জ্যোৎস্না হেনে যায়
কী তীব্র জ্যোৎস্না হেনে যায়।।