নিঃস্বার্থ

গােপলাটা কি হিংসুটে মা! খাবার দিলেম ভাগ করে,
বল্‌লে নাকো মুখেও কিছু ফেলে ছুড়ে রাগ করে।
জ্যাঠাইমা যে মেঠাই দিলেন ‘দুই ভায়েতে খাও’ বলে-
দশটি ছিল, একটি তাহার চাখতে নিলেম ‘ফাও’ বলে,
আর যে নটি, ভাগ করে তায় তিনটে দিলেম গোপলাকে-
তবুও কেবল হ্যাংলা ছেলে আমার ভাগেই চোখ রাখে।
বুঝিয়ে বলি, ‘কাদিস কেন? তুই যে নেহাৎ কনিষ্ঠ,
বয়স বুঝে সামলে খাবি, তা নৈলে হয় অনিষ্ট।
তিনটি বছর তফাৎ মােদের, জ্যায়দা হিসাব গুনতি তাই,
মোদ্দা আমার ছয়খানি হয়, তিন বছরে তিনটি পাই।’
তাও মানে না, কেবল কাঁদে- স্বার্থপরের শয়তানি,
শেষটা আমায় মেঠাইগুলাে খেতেই হল সবখানি।