জীবনের ফ্লাটে এক একজন ভাড়াটে

জীবনের সুদীর্ঘ ফ্লাটে একটি
ছোট্ট রুম ভাড়া নিয়ে আছি
আমি একজন ব্যতিক্রম ভাড়াটে।

অথবা আমি নই আমরা প্রত্যেকেই
এক একজন ব্যতিক্রম ভাড়াটে
ছোট ছোট ঘর ভাড়া নিয়ে থাকি
ভাড়াহীন ভাড়া দিয়ে থাকি।

আবার সময় নিহত হলে
আমরা অন্যত্র কোথাও চলে যাই।

কোথায় যাই? কেউ তো বলে না
উত্তরহীন সকলেই ঘর ছেড়ে দিয়ে
যাবতীয় আসবাব গহনাপত্র ফাইল
শার্ট প্যান্ট পুরোনো স্যান্ডেল কবিতাবলী
কালের ব্যাংকে জমা রেখে
নির্ভাবনায় চলে যায়
অবিকল ঘর ছেড়ে চলে যায়।

আমাকেও তাহলে কি এমনি
চলে যেতে হবে ঘর ফেলে আসবাবপত্র!

আমার অপ্রকাশিত কবিতাগুলো আমি
কার জিম্মায় রেখে যাবো তবে।
স্বাতি নামে যে মেয়েটি আমারি
পাশের রুমে থাকে তাকে দেবো
নাকি জনতার কর্ষিত ক্ষেতে
ছড়িয়ে দেবো কবিতার ধান!

অথবা একটি ফুলের স্বতীত্বের
মাঝে লুকিয়ে রেখে দেবো সূর্য
আমার সমস্ত শব্দাবলী
কবিতা ও কবিতার অন্তর্বাস।

একটি ভীষন ডাকাত যে কোনো
মুহুর্তে সব কিছুই লুটে নিতে পারে
জাহাবাজ একটি ডাকাত
কালের সোনালী ডাকাত।

আমি জানি কমটি ছেড়ে দিলেই
জনৈক আর একজন হবে তার মালিক
পাশের ঘরের দুঃখিনী মেয়েটি শুধু
দীর্ঘশ্বাস ফেলবে আর কিছুই হবে না।
আমার ঘরের জানালাগুলো আবার খুলবে
রোদ এসে আছড়ে পড়বে তক্তকে মেঝেয়
গুলিবিদ্ধ বিমানের মতো-

টেবিল ঘড়িটিও আমার অনবরত
চিৎকার কোরে যাবে টিকটিক টিকটিক…