বধির টঙ্কার

সামান্য চৌকাঠ শুধু তুচ্ছ করে এসো এই ঘরে
বাসনার স্থিরমুদ্রা স্পর্শ যদি করে নাভিমূল;
কী হবে শরীর ঢেকে, জানালার পাট বন্ধ করে?
অপরাধী অন্ধকার যদি সেই ঢেউয়ের তুমুল

দোল আনে; কান্তিময়ী নর্তকীর মতন সোহাগে
উদ্যত ফণার কাছে নিয়ে যায়; বধির টঙ্কার
বেজে ওঠে সারা মর্মে; নিমীলিত চোখে যদি জাগে
বেদেনীর বাণদৃষ্টি, এসো তবে যুবতী আমার।

হাতে চেপে শব্দময় পাতকিনী পায়ের নূপুর
তুমি কি থামাতে পারো ধাবমান ধ্বনির দাপট?
মুদ্রিত আঙুলে তোলো যে ইঙ্গিত, সমস্ত কিছুর
অর্থ যেন ভেসে যায় জলবৎ, যেন ভরা ঘট

উল্টে গেছে অকস্মাৎ লাথি লেগে লোলুপ পশুর
অথবা প্রথম রক্ত ভিজিয়েছে কুমারীর গোপন সঙ্কট।