নির্ভুল নামে

যেন কোনো গ্রাম নেই, পথ নেই, লোকজন চিনি না কাউকে।

অথচ সুদূরে স্বপ্ন ছিলোনা কি? ছিলো না পাখির
মানুষের মুখ, কিংবা বুকের বিষয়
উড়ালে উড্ডীন কিছু কালো চিহ্ন?
যা নাকি আলাদা করে, ভিন্ন অর্থে পার্থক্য বোঝায়
নাসিকা, ওষ্ঠের বাঁক, চোখ কালো, তিলটি কোথায় কিম্বা
কি ছাঁদে বাঁধলে খোঁপা তোমাকে চিনবো।

মনে হয় আজ আর এ রকম পার্থক্য বুঝি না। অথচ রঙের
এখনো ফারাক বুঝি, লাল কালো হলুদ সবুজ
একটি ইজেলে থাকলে নির্ভুল নাম ধরে ডাক দেওয়া
এখনো সম্ভব।
এখনো পারবো বলতে বৃক্ষের কি নাম, তাতে ধরে কোন ফুল
কখন জোয়ার আসবে, কেমন গর্জন হলে বৃষ্টি হতে পারে
বাতাসে কিসের তৃষ্ণা, শস্যের ঘ্রাণ টেনে এমনও পেরেছি-
কখন ফসল উঠবে দিনক্ষণ সঠিক জানাতে।

একটি চাষীর মত এসমস্ত প্রাকৃতিক আয়াত শিখেছি।

কেবল পারি না জানতে মাংসের বহুবর্ণ বিষয়সমূহ
কিভাবে বিদীর্ণ বংশে কি রকম বিভেদ ফোটালো।

আমি তো বৃক্ষাদি চিনি বলতে পারি এটা কোন ফল
এখন কি মাস যায়, খ্রীস্টের যাওয়ার পর কতকাল বিফল হয়েছে।

তবু কেন তোমাকে চিনি না।
তবুও তোমাকে কেন দীনা বলে অকস্মাৎ ভুল করে ডাক দিয়ে উঠি
তুমি তো হাসিনা।