অসুখে একজন

কাকটা তাড়িয়ে দাও, ও বড় ভীষণ কণ্ঠে ডাকে।
জানালাটা হাট করে কাছে এসে বসলে কি হয়?
বললো সে ম্লান শব্দে সুন্দর উদর থেকে সরিয়ে ভরম;

পিয়ালার মতো দুটি বক্ষপদ্মে উড়ে গেলো দৃষ্টির ভ্রমর
কাছে গিয়ে ডাকলাম।

কণ্ঠা উঁচু হয়ে আছে, গালে গর্ত, চোখ দু’টি স্থির।
এক পক্ষকাল ধরে বার বার ব্যথায় অষুধে
জানতে সে চেয়েছিলো আত্মহত্যা কি কারণে পাপ।
এইতো আশ্বিন আজ। একটুখানি আলো কিংবা বাতাস পেয়েই
সবুজ সম্ভ্রমটুকু টেনে ধরলো বুকের ওপর।

তোমাকেও ঘুমুতে দিইনি- ব্যথায় তরল হলো
মার্বেলের মতো দু’টি অতল পাথর
যেখানে বিম্বিত হয় ফুলদানী ভোজপত্র টেবিল প্রভৃতি।

কাল খুব জ্বালিয়েছি, তোমাকেও ঘুমুতে দিইনি
ভাবলাম বাঁচবো না কোনদিন দেখবো না তোমাকে
তোমার পড়ার শব্দ শুনবো না, কবিতার অস্পষ্ট আওয়াজ
ঘুরবে না ঘরময়, আমার চৌদিকে। বলবে না বান্ধবীরা
লো তোর কবির কাণ্ড পড়েছি কাগজে। কাল শুধু ভাবলাম
পার হয়ে যাচ্ছি যেন আমাকেই আমি-
আমাকেই আমি যেন পার হয়ে যাচ্ছি বহুদূর!
যেমন জোয়ার ঠেলে কম্পমান নৌকা ভেসে যায়
যেমন রাতের নদী ঢেউয়ে ঢেউয়ে টেনে নেয় কারো হাতে ভাসানো
প্রদীপ
তেমনি আয়ুর রেখা তেমনি প্রেমের রেখা দুঃখের শোকের
সমস্ত ছকের খেলা পার হয়ে যাচ্ছি বহুদূর!