এপারে

দেখলাম দু-চক্ষু ভ’রে, হে প্রভু ঈশ্বরমহাশয়
চৈতন্যে প্রসন্ন সূর্য,
খচিত রাত্রির দেয়া গান
রেডিয়ো নক্ষত্রে বাজলো এই দেহে ঝিমঝিম দূরে
শিরায় জড়ানো নহবৎ।
ইন্দ্রিয়ের চূর্ণ সুরে
জেগেছে সংসার প্রান্তে আদিম গায়ত্ৰীমন্ত্রময়
ভুর্ভূবঃ স্বঃ।
হোক না স্বেচ্ছায় বন্দী প্রাণ
হঠাৎ মুক্তি সে পেল।
(কিছু বন্দীদশা ইচ্ছাতীত,
সে তর্কে নামবে না আজ।)
মহাশয়, পার্থিবের দেশে
স্বীকার্য, অনেক হ’লো: সভ্যতা যতই পাপ কাজে
যুদ্ধে হানে জ্যোতির্বুদ্ধি, রক্তবহ যন্ত্রণা সমাজে
গঙ্গোত্রীর ধারা নেমে বার-বার অলক্ষ্য রঙ্গিত
ধুয়ে মুছে দিয়ে গেলো মুহূর্তে অক্ষয় লোকালয়
কোটি মৃত্যু কান্না ছোঁয়া সমুদ্রের নীল নিরুদ্দেশে।
শুধু আজ্ঞা দাও, যেন বুঝি
আয়ুকাব্য মহাময়
অধ্যায়ে-অধ্যায়ে ভালো অভাব্যের এই পরিচয়
গ্রন্থিবাঁধা তারি মধ্যে এসে আমি জন্মমৃত্যুপারে
আজো কোন খুঁজি বাসা,
এদিকে পঞ্চাশ হ’লো, দিন
এ যাত্রা সন্ধ্যায় ক্রমে সন্ধিক্ষণে হ’য়ে আসে ক্ষীণ
পালা-বদলের বেলা,
মেলাবে কি যোগ অন্ধকারে
সৌরধুলো তৈরি দেহ রাখি যবে, ঘরে-ফেরা বাঁশি-
বহু পথ এসেছি তো বস্টনে বাঙালি দূরবাসী।।