হাওয়া দেয়, হাওয়া দেয়

দশখানা খাতা ভরেছি গদ্যে-পদ্যে
দশ থেকে বারো-তেরো বছরের মধ্যে।
গ্রীষ্মমদির দুপুরের নিঃসঙ্গ
অবসরে কত অবোধ নীরব রঙ্গ!
-হাওয়া দেয়, হাওয়া দেয়।
সতেরো বছরে পা দিয়ে ভেবেছি:
কী-ছেলেমানুষি হায় রে!

ত্বরিতে ছড়ালো অধীর মুদ্রাযন্ত্র
পূর্বতিরিশে পঞ্চাশোর্ধ্ব গ্রন্থ।
শত রাত্রির অনিদ্রা দিলো আকুলি’
আমার বুকের সুখের পাখির কাকলি।
-হাওয়া দেয়, হাওয়া দেয়।
আজ মৃদু হেসে ভাবি ব’সে-ব’সে:
কী-ছেলেমানুষি হায় রে!

মায়াবী টেবিলে কুটিল কঠিন হীরকে
মনে হয় আজ চোখে-চোখে দেখি চিরকে;
বিন্দু-বিন্দু নিঙাড়ি’ মনের মজ্জা
অচেতনে চাই পরাতে চেতন সজ্জা।
-আরো দেয়, হাওয়া দেয়।
পঞ্চাশে এসে বলবে কি শেষে:
কী-ছেলেমানুষি হায় রে!
আজীবন অফুরন্ত মনের ব্যঞ্জনা,
আযোজন পরিমার্জনা, পুন মার্জনা।
অবশেষে ঠিক মৃত্যুর আগে, সত্য
যদি জেনে যাই কীর্তির অমরত্ব:
-তবু দেয়, হাওয়া দেয়!
তালে দিয়ে তাল তবু হাসে কাল:
‘কী-ছেলেমানুষি হায় রে!