কাঁটা

পাখি বসেছিলো গোলাপ-ডালে;
বিঁধলো বুকে বিঁধলো কাঁটা।
চন্দ্রা দেবীর গোলাপ-গালে
সন্ধ্যারবির একটি রঙিন
লম্বা আঙুল রঙ্গলালের
বিঁধলো চোখে।
বিঁধলো বুকে বুকের তলে
তীক্ষ্ণ ক্ষণিক একটি আঙুল
রক্ত-রঙিন কঠিন ডালে।
সন্ধ্যাছবির অন্ধকারে
ঝরলো পাখি। রঙ্গলালের
চোখের নীড়ে পড়লো ধরা
চন্দ্রা দেবীর চোখের পাখি
সন্ধ্যাতারার ছায়ার বলে।

তুমি প’ড়ে ছিলে গাছের তলে
রক্তে-কাদায় টাটকা মাখা।
রক্তে-সোনায় আগুন-রঙিন
পূর্বরবির হলদে-লালের
একটি সঙিন উর্বশীকে
বিঁধলে বুকে।

বিঁধলো বুকে অন্ধ চোখে
তীক্ষ্ণ কঠিন লম্বা সঙিন
অন্ত্র-ছেঁড়া হলদে-লালে।
রৌদ্ররঙিন গাছের তলে
ঝরলে তুমি। উর্বশী তার
বক্ষোচূড়ার অন্ধ চোখে
তন্দ্রা ভাঙায়, স্বপ্ন জাগায়
ইন্দ্র-চোখের ইন্দ্রনীলে।