নূপুর

কবিতা, আর কোরো না দেরি, কবরী বাঁধো, পরে নূপুর,
দ্যাখো-না মেঘে আঁধার হ’য়ে আবার এলো খর দুপুর।
বৈশাখের শুখানো চাঁপা উড়ায়ে
আষাঢ় দিলো যূথীর আশা ছড়ায়ে,
আকাশ থেকে দু-হাত আছে বাড়ায়ে
ঘাসের বুকে গাছের সুখে যত মধুর।
পরে নূপুর, পরে নূপুর, পরে নূপুর।

কবিতা, এই মেঘের দিনে সবই তোমার ভালোবাসার,
তোমার খুশি মন করেছে, বৈশাখে তাই এলো আষাঢ়।
তোমার চোখে পড়বে ব’লে বিকালে
অস্ত-রবির রঙিন লিপি লিখালে,
বৃষ্টি-পড়া রাতের চাঁদে মাখালে
অশ্রু-মেশা হাসির নেশা নববধূর।
পরে নূপুর, পরে নূপুর, পরে নূপুর।

কবিতা, দ্যাখো তোমারে ডেকে প্রেমিক হ’লো সারা ভুবন,
রূপের রঙে সাজায় সেবা রাত্রি-দিবা যেন দু-বোন।
অবাধ জল সোহাগ দিয়ে জড়ালো,
বাতাসে প্রেম পরশ হ’য়ে ছড়ালো,
আকাশ ভ’রে হাজার তার ঝরালো
সুদূর কালে আলোর তালে তোমারই সুর- তুমি যে-সুর।
বাজো, নূপুর; বাজো, নূপুর; বাজো, নূপুর।