সলজ্জ আষাঢ়

মেঘে-মেঘে হ’লো প্রসাধন শেষ, শেষ হ’লো ছায়া-সজ্জা,
আষাঢ়, তোমার এখনো কেন এ-লজ্জা।
কেন থরোথরো দ্বিধাভরে যাও থমকি’
পরুষ রৌদ্রপরশে সহসা চমকি’,
কেন এসে তবু আসো না।
ঝ’রে তব ছায়া নীরব শ্যামল-সবুজে।
পূর্ণহৃদয় অধরে তোমার তবু-যে
বাধো-বাধো আধো ভাষণা।
আষাঢ়, তোমার এখনো কেন এ-লজ্জা।

হে কুমারী, তুমি বধূ হবে ব’লে আকাশে বাসর-শয্যা,
প্রেমিকেরে করো করুণা, কোরো না লজ্জা।
দেখা দাও তুমি, যে-রূপে সে চায় তোমারে,
নির্ভয়ে ভাঙো আলো-আঁধারের সীমারে,
অকূলপ্রণয়প্লাবনা!
রাত্রিদিমনের লক্ষ ঋণের দীনতা
লুপ্ত করুক অরূপ সময়হীনতা,
ওগো অশাসনবাসন।
হে আষাঢ়, আর কোরো না, কোরো না লজ্জা।