শ্রাবণ

আমার মনের অবচেতনের তিমিরে
কত-যে কথার জোনাকি
লাজুক আলোকে খুঁজে-খুঁজে ফেরে তোমারে-
শ্রাবণ, তুমি তা জানো কি?

খরবরিষণঝংকৃত ঘন নিশীথে
মরে সে গুমরি’-গুমরি’
ঝরঝরস্বরে নিজেরে নিবিড়ে মেশাতে:
শ্রাবণ, এ-সুর তোমারই।

মেঘমন্থন মন্ত্র তোমার শাণিত
লাল বিদ্যুতে বিলসে,
ছায়াচ্ছন্ন নীল দিগন্ত শুনি-তো
তোমারি কাহিনী বলে সে।

হে কবি-শ্রাবণ, তোমার পূর্ণ প্রতিভা
আমারে কখনো ছোঁবে না?
তারে-তারে এলো থরোথরো সুর যদি-বা
বাণীহীনা র’বে কি বীণা?

আদিম আঁধারে বাঁধা হীরকের যে-খনি
তোমারেই, কবি, দেবো তা,
ধাতুর হাতুড়ি-আঘাতে জাগবে যখনই
শুভশিখার কবিতা।