চিত্রিত শহর

খুন করা হয়ে গেলে এলিয়ে পড়লে তুমি রিভলবার ছুঁড়ে ফেলে ফিরতেই
দেখি কী চমৎকার ছবি তুমি টাঙিয়ে দিয়েছে নিজের।
রিকশার বনেটে কাঁপে সেই চোখ পল্লীর মতোন ভুরুরেখা
ধাতুর সড়কে তুমি বিছালে শীতল বাহু কোমল আঙুল অঙ্গুরীয়
ট্রাফিকসংকেতে উঠছো হেসে লাল হয়ে চুল তুমি ছড়ালে টাওয়ারে
অ্যাভেনিউর গাছে গাছে গেঁথে দিলে নিজ মুখ সারা অবয়ব
গন্তব্যমাতাল সকল যানবাহন হেডলাইট খুলে ফেলে বসিয়েছে তোমার ছবিকে
পলায়নপর আমি আর তুমি উঠছো হেসে স্টিয়ারিংহুইল স্পিডোমিটারে
অসহ্য ব্যথায় চিৎকার ক’রে উঠছে কান্তারবিধুর গাড়ি ধাতব হৃদয়
কী মসৃণ তোমার কারুকাজ গোপনে গোপনে তুমি কাজ ক’রে গেছো ধরণীতে
এ-শহর কি তোমার রাজধানি? তুমি তার চির সুলতানা?
শহর শহরময় তুমি পালিয়ে নিসর্গে যাই নিসর্গের নীল বনভূমি
প্রতিটি সরল বৃক্ষ তোমার রঙিন ছবি নিয়ে উৎসবমুখর। তাহলে কোথায় যাই?
কারাদণ্ডে যাই, সেলে ঢুকে প্রথমেই দেখি জেলর টাঙিয়ে দিচ্ছে
তোমার শ্যামল মুখ পাঁচ ফুট চার ইঞ্চি কস্তুরী তোমাকে।