নৈশ বাস্তবতা

নীল জল ঝরে অবিরল যেনো ব্যালকনি থেকে কেউ মেলে দিচ্ছে শাড়ি
কবিতার জন্ম হয় যোলোটি সরল বাক্যে স্থিরাস্থির ছয়টি ছবিতে
ভূমধ্যসাগরি আলো সরবে রটিয়ে দেয় শেষ হ’য়ে গেছে মহামারি
গোলগাল চাঁদ আর চারকোণা আলো নিয়ে খেলা ক’রে কিন্নর কবিতে
চতুর্দিকে চিরায়ু চাঁদের তলে জ্ব’লে যায় জড় ও জান্তব
মেরুদণ্ডের মতো ধ’রে আছে মেদিনীরে এই রাত্রি পবিত্র বাস্তব

জ্ব’লে কালো আলো নীল আলো শুয়ে আছে লাল আলো কাত হ’য়ে আছে
বঙ্গ থেকে অর্ধেক গোলার্ধ ভ’রে ভেসে আসে মাছ আর শৈশবের স্বর
বস্তুর ঠোঁট স্বপ্নের লাল ঠোঁটে দৃশ্যের ডান হাত সঙ্গীতের কোমরের কাছে
সামনে ছড়ানো পথ দ্রুতগামী এসকেলেটর
গোপন শেকড় বেয়ে বাক্য হ’য়ে আসে নদী পল্লবের কোমল বাতাস
বস্তু ও স্বপ্নের সন্ধি বাম পাশে ডান পাতে সুর আর ছবির সমাস