এখন আশ্চর্য দিন

এখন আশ্চর্য দিন এই পৃথিবীতে
সোনার মতন সূর্য জেগে ওঠে ভোরে
এয়োরোড্রোমের থেকে উঁকি দেয় আসন্ন সরণ
হয়তো-বা হয়ে যেত সারস, স্বর্গীয় পাখি, এক
তবু সূর্য তাহাদের আলোক দেখায়
(অথবা লুকিয়ে রাখে মেঘকিনারায়)
সেইখানে শুক্ল স্বর্গ এক-দিন গড়েছিল লিওনার্দো, টিশিয়ান, প্যাসকাল, ক্রুশ
পতঞ্জলি- আধো-প্রীত হয়েছিল হয়তো-বা পুরাণপুরুষ
রাত্রিকে দিন ক’রে দিয়েছে যদিও এই পৃথিবীতে চাঁদনির চক
দিবসকে রাত ক’রে দিয়ে পুনরায়
স্বর্গের দশম দ্বার খুলে দিলে পুনরায় প্রথম নরক
দেখে যায় ভাঁড় শুধু, তার যথাস্থান সে-ও বদলাতে চায়
নিজের অজ্ঞাতসারে নিসর্গকে করুণার মতো ভেবে নিয়ে
কিংবা জ্ঞাতসারে
সকালে চাতক-পাখি উঠে যায় আকাশের দিকে
প্রচ্ছন্ন অগ্নির ঢেউয়ে তার দুই ধারে-
দুই-দশ টন বল উপরের আলোকের থেকে
নিচু পৃথিবীতে নেমে আসে
আচ্ছন্ন কৃষাণ তার মাঠের ইঁদুর, ঢিল, টুনটুনি-পাখি-ভরা খেতে
যত বেশি রৌদ্র ঢলে তার চেয়ে বেশি সোনা পেতে
ভোরের লাঙ্গল ধ’রে চেয়ে দেখে সময় অনন্ত জাল শুধুই বিবেকে
পৃথিবীর সূচনা ও সমাপ্তির সন্তপ্ত কৃষক
অথবা মানুষ তার মনীষীর হাত ধ’রে আকাশের মতো বড়ো ঘড়ির ছায়ায়
অকাতর দর্পণের মতো ঘোরে বিম্বিত গতির তাড়নায়।