আলো-অন্ধকারে

এ-পৃথিবী জেগে আছে আলো অন্ধকারের ভেতর
পৃথিবীতে কিছুদিন র’য়ে যাব আমি
দেখেছি কোকিল গান না গেয়ে নির্জনে
কয়েকটা ফুটফুটে ডিমের প্রণামী

বন্ধুর বাসায় রেখে গেছে
দেখেছি নক্ষত্র নদী মানুষের মুখ,
ভেবেছি, চেয়েছি রক্তে হারায়ে ফেলেছি অনর্গল।
আরও বোধি- আরও প্রেম হৃদয়ে জাগুক।

খুঁজো না ক’ রীতি আর, রক্ত রৌদ্র আর;
খোলো গিয়ে কোনও দূর মেধাবী দুয়ার-
দুই পা ছড়ায়ে বসো সেখানে গভীর শান্ত ঘাসে
পৃথিবী অনেক দান দিতে পারে তবু
পৃথিবীর হাত থেকে তুলে নাও এই শান্তি শুধু:
ডানার-ঘুমের মতো পাখির সকাশে।

সেই ঘুম হয়তো-বা কারু মৃত্যু নয়
যা চেয়েছ সেই সব রক্তের সঞ্চয়
নয়;- সেখানে শান্তিরে শুধু চাহিবার নিস্তব্ধ প্রেরণা
তৃপ্তি পায়- ধূসর সেতুর পরে- তোমারই মনের;
ফুরায় গহন উত্তেজনা।

জানি এই পৃথিবীতে
জ্ঞান- প্রেম- অগ্নি- ভাষা সব উত্তেজনা
উদ্যম এড়ায়ে এক স্থির শান্তি খুঁজে পেতে চায়
নিশি-দিন আমাদের জলে- সূর্যে- ধ্বনিলোকে টেকে না চেতনা

তোমারে পাব না আমি আর:
জীবনের এই পারে- অই পারে শান্তির সংস্থান;
সে এক রাতের জ্যোৎস্না- এক-আধ মুহূর্তের সুকৃতির শুধু
কিন্তু শান্তি অন্ধকার অনন্তের দান।

এলো রাত্রি, আহা
অনেক নক্ষত্র নিয়ে এলো
এই বার শরীর ঘুমাবে-
মন: কী সে পেল?

মন কবে শান্তি পাবে, কবে?
না ঘুমিয়ে অন্ধকার রাত্রির মতন
নদী নক্ষত্রের মুখে স্নিগ্ধ হয়ে র’বে-
মৃত্যু নয়- শান্তি পাবে মন।