আমরা শত-সহস্র লোক

আমরা শত-সহস্র লোক- আমরা লক্ষ-লক্ষ লোক-
আর এই বিরাট শহর একটা সমুদ্র-সরীসৃপের মতো
প্রতি ভোরে জেগে উঠছে; হিন্দোলিত হয়ে উঠছে আদিম সমুদ্রের মতো
যে-সমুদ্র সৃষ্টি এক দিন তার প্রবল রোমশ হাতে তৈরি করেছিল-
আজ আমাদের প্রাণের ভিতর কীসের স্পন্দন!

তোমাদের মনে হতে পারে খুব তুচ্ছাতিতুচ্ছ (তম)- কিন্তু কেউ মাথার উপরে একটা ছাদ চাচ্ছে শুধু
কেউ সারা-জীবনের অক্লান্ত পথ-হাঁটা স্তব্ধ ক’রে একটু শান্তি চাচ্ছে… ভালোবাসা কেমন তা সে জানেই না
পয়সার অভাবে তার এই পথ-হাঁটা… একটু শান্তি… তার পর আবার ন্যাং-ন্যাং-ন্যাং
কেউ ভালোবাসাই চায়- চায় ধবল ঘোড়ায় চ’ড়ে এক সুন্দর কুমার আসুক
কিন্তু পায় পাতিচালকুমড়োর মতো এক জীবকে
(অনুভূতির সমুদ্রের কোনও স্পন্দন যে কোনও দিন পায় নি
বাস্তবিক অনুভূতি দিয়ে আমরা করবই-বা কী?
অনুভূতি কল্পনা কোনও অন্য নক্ষত্রের জিনিস)…

ভোরের থেকে রাত- রাতের থেকে ভোর- আমাদের অক্লান্ত অন্বেষণ কোনও কুহকের জন্য নয়
শরীরটাকে বুঝ দেবার জন্য শুধু: এক দিন অন্ন না পেলে করব কী?
এক দিন- দু’ দিন- তিন দিন- চার দিন- দশ দিন- পনেরো দিন…
তার পর কী করব অন্ন না পেলে?
হায়, জীবনের সব রং এই ধূসর রঙের ভিতর শুকিয়ে গেল
কোনও নক্ষত্রও কোনও নির্দেশ দিতে পারল না-
মৃত্যু (সে কি এক নক্ষত্র?) এক অন্ধকার অসংলগ্ন সমাধান উপস্থিত করল মাত্র।