নীলিমা ও পৃথিবীর মাঝখানে

নীলিমা ও পৃথিবীর মাঝখানে এক দিন আমি
তোমাকে দেখেছি এক অন্ধকার বিন্দুর মতন
ধানের বিবর্ণ খেতে হাওয়ার অমেয় বিচরণ
সহসা রৌদ্রের পারে নেমে এসে যেতেছিল থামি

দু’-চারটে ইতস্তত শালিখের শরীরকে ছুঁয়ে
বিম্ব পড়েছিল রোদে ঘাসের উপরে
সোনালি খড়ের মতো রঙ ছায়া অন্য এক শতাব্দীর তরে
এখন মানুষ শুধু ভেবে নিতে পারে ঘাড় নুয়ে

ধানের গুচ্ছের ‘পরে হাত রেখে আমি তার শরীরের ঢেউ
ছায়ার উপরে শীর্ণ হাত রেখে দিয়ে
অফুরন্ত রৌদ্রের তিমিরে হারিয়ে
একটি কোকিল ছাড়া- টের পাই- কেউ

নেই আর। সততই পাখি নিজ নামধেয় অন্ধকার বিহঙ্গকে খুঁজে
রোদের ও-পারে রোদে হয়েছে কোকিল
রোদের গভীর গুণে তবুও কোথাও এক তিল
রৌদ্র নেই ব’লে গান গুণময়; সকলই রয়েছে চোখ বুজে।