বহুপ্রসবিনী জননীর প্রাণে

দেখ এক বহুপ্রসবিনী জননীর প্রাণে
শুক্র তারকার গন্ধ হেমন্তের-
নীড়মুখি চিল নেমে এল
হলুদ পাতার সাথে বিড়ালছানারা বাহিরে খেলিছে বুঝি?
তবু তার শিশুদের- সারা দিবসের- (দীর্ঘ দিবসের)
জলপ্রপাতের মতো উন্মত্ত শরীরগুলো
ক্রমে-ক্রমে পাথরের মতো হয়ে যায়
নামের ভিতরে নামে- ধীরে-ধীরে মাথা হেঁট ক’রে
জননী ডাকিছে তাহাদের- তবু কোনও সংবেদন নাই
প্রদীপ লুফিয়া গেছে বহু ক্ষণ- তবে কি সে
নিরম্বু পাহাড়- বধির- আকর্ণ- স্তব্ধ-
যেন এক শ্লথ সিংহী মরুভূর বালির ভিতরে
জানুভগ্ন কালো শিলা হয়ে গেল
জঙ্ঘা আর নড়ে না ক’- দুই চোখ তবু
আধেক জীবন- আধাে-প্রস্তরের মোহানায় থেমে
ঢের উঁচু- ঢের দূর ধূম্র প্রাসাদের
অন্ধকার লৌহ ফলকের দিকে চেয়ে
একটি অনন্ত রাত্রি আবার কাটাবে নিষ্পলক।

(শিশুদের মৃত্যুর মুখোমুখি: এক প্রবর নারীর সম্বিৎ)