ফ্যাক্টরির পাশে

এইখানে আজও তবে- ঢের দিন পরে
আবার এসেছে নেমে বড়ো মাঠে- বিকেলের আলো
ঢের দিন বেঁচে থেকে কয়েকটি দীর্ঘতম গাছ
হয়ে গেছে হাড়ের মতন ক্রমে- তাহাদের ছায়া তবু
দীর্ঘতর- পনির-ধূসর।
হয়তো মৃত্যুর আগে এই উঁচু কঙ্কালের ভিড়
ছায়াবীথি দিয়ে চ’লে যাবে নেউল-মলিন দূর সমুদ্রের দিকে

এইখানে হেমন্তের ঘ্রাণ আজ- চারি-দিকে কয়েকটি প্রাসাদের প্রথম উচ্চতা
বৃক্ষদের কেন্দ্র থেকে ঢের দূরে স’রে গিয়ে বিমোহিত হয়ে
এই শান্ত বিকেলের নেউল-আলোর মুখে ধরা প’ড়ে গিয়ে
ক্বচিৎ মেঘের মতো;- এখনও কী ক’রে তারা দাঁড়ায়ে রয়েছে?
আমরা কি এক-দিন বেবিলন সৃষ্টি করি নাই?
আমাদের অভিজ্ঞতা কোনও এক নগরীর মৃত্যুর মতন
রাজমুণ্ডাঙ্কিত গোল মুদ্রার মুখে এসে কা’কে
চিনে নেবে? কে তারে পরিধি দিল? কিংবা কোন স্থির
জল-আলোড়ন থেকে উঠে পরিধির জন্ম হল কবে
মানুষের স্থিরতর বিস্মিত হৃদয়ে-

বেবিলন ম’রে গেলে- এই সব পিঙ্গল প্রাসাদ
তাহার পুচ্ছের থেকে উঠেছিল- যেন কোনও নিওলিথ-সরীসৃপ
আজও পুচ্ছ নেড়ে যায়- হয়তো অনেক দিন আরও
খেলে যাবে। এইখানে দার্শনিক আর তার স্থির
জলের তরঙ্গ থেকে জেগে উঠে যেই সব রেখা জন্মেছিল:
গোলকধাঁধাকে তার শীর্ণ অর্থ দিয়েছিল-
সোনার মুদ্রাকে তার শীর্ণতর রূপ
সেই সব প্রবীণ আনন্দ, আলো, অনুভব প্রত্যাখ্যাত চির-দিন।