গতিবিধি

সর্বদাই প্রবেশের পথ র’য়ে গেছে;
এবং প্রবেশ ক’রে পুনরায় বাহির হবার;-
অরণ্যের অন্ধকার থেকে এক প্রান্তরের আলোকের পথে;
প্রান্তরের আলো থেকে পুনরায় রাত্রির আঁধারে;
অথবা গৃহের তৃপ্তি ছেড়ে দিয়ে নারী, ভাঁড়, মক্ষিকার বারে।

এই সব শরীরের বিচরণ!
ঘুমায়ে সে যেতে পারে।
(সচেতন যাত্রার পথ তবু আরও প্রসারিত।
আলো অন্ধকার তার কাছে কিছু নয়।)
উটপাখি সারা-দিন দিবারৌদ্রে ফিরে
বালির ভিতরে মাথা রেখে দিয়ে আপনার অন্ধ পরিচয়
হয়তো-বা নিয়ে যায়,- হয়তো তা, পাখির বিনয়।

কোনও এক রমণীকে ভালোবেসে,
কোনও এক মড়কের দেশে গিয়ে জোর পেয়ে,
কোনও এক গ্রন্থ প’ড়ে প্রিয় সত্য পেয়ে গেছি ভেবে,
অথবা আর-এক সত্য সকলকে দিতে গিয়ে অভিভূত হয়ে,
শরতের পরিষ্কার রাত পেয়ে সব-চেয়ে পোষাকী, উজ্জ্বল-
অথবা সবের চেয়ে দূরতম নক্ষত্রকে অকৃত্রিম বুঝে
চিন্তা তবু বর্ষা-রাতে দ্বার থেকে দ্বারে
ভিজে কুকুরের মতো গাত্রদাহ ঝাড়ে।

সমাধির ঢের নীচে- নদীর নিকটে সব
উঁচু-উঁচু গাছের শিকড় গিয়ে নড়ে।
সেইখানে দার্শনিকের দাঁত ক্কাথ পান করে
পরিত্যাক্ত মিঠে আলু, মরামাস, ইঁদুরের শবের ভিতরে;
জেনে নিয়ে আমরা প্রস্তুত ক’রে নিই নিজেদের;
কেননা ভূমিকা ঢের র’য়ে গেছে-
বোঝা যাবে (কিছুটা বিনয় যদি থেকে থাকে চোখে)-
সুশ্রী ময়ূরেরা কেন উটপাখি সৃষ্টি করেছিল
টানাপোড়েনের সুরে- সূর্যের সপ্তকে।