হেমন্তের কুয়াশায়

হেমন্তের কুয়াশায় প্রান্তরের নারীটিরে জাগালাম
বাতাসের মতো তার রং- তার শূন্যের শরীর
এক দিন হৃদয়ের বন্দরে সে এসেছিল
কত দূর সমুদ্রের থেকে, আহা,
এনেছিল দীর্ঘ মুখ যেন কোন্ বেবিলন-রূপসির
জাহাজের ময়ূরের পিঠে চ’ড়ে রৌদ্রের সাগরে
এনেছিল দুধের মতন সাদা মদ আর সোনার ডিমের মতো আননের চাঁদ
আজ তার দেহ থেকে পৃথিবীর সব রং, ধুলোর আস্বাদ
ঝ’রে গেছে; আমারও হৃদয়ে নেই মৃত্তিকার সাধ।
আজ রাতে পরিষ্কার চিন্তার আকাশে
শূন্যের মতন তার অবয়ব
হিম, স্থির বাতাসের মতো যেন শান্ত হয়ে আসে
ধূসর মেঘের রঙে পরিব্যাপ্ত আকাশের আলো
আঁকা-বাঁকা উঁচু-উঁচু শাখার ভিতরে
কুয়াশার মতো এক সাদা অবয়ব
নিয়ে আসে
মানুষের দেহ-ভীরু,- ঢের দূর-
যদিও সে স্তন লয়ে বেঁচে আছে পৃথিবীর বিপণিতে
(তবু তারে খসায়ে করেছি আমি- অশরীরী)
এক গাল বাতাসের স্বপ্ন ঢেলে তার মাছি-মাংসদের করেছি নীরব
অপার্থিব কুয়াশার মতো তারে করি অনুভব।