হিমের কুয়াশা

হিমের কুয়াশা নাকে- তারপর- মৃত্যু একদিন-
তবু তার আগে মৃত্যু হানা দেয়
দিবসের আর্তেরা রাতের বায়ুর শব্দে আসে
কোনও এক রকপাখি- মসৃণ ডিমের সাথে আতুরকে টেনে নিয়ে যায়
গম্ভীর ডানার শৌর্যে- যেখানে সে- যতদূর- যেতে পারে
তারপর নিম্নতম পৃথিবীর পামিরের ছাদে ফিরে এসে
অবিকল কৃষ্ণসার- গড্ডালিকা জীবনের স্বাদ নয়
মাংস- মৃত্যু- মৈথুন।

কারও কাছে প্রেম শুধু রমণীর মেধ নয়
তবু শুক্ল মেধ তারা চেয়েছিল
অন্ধকারে টের পায় লেগুনের জল
সমুদ্রদ্যুতির থেকে ঢের দূরে-

কেউ মৃত্তিকাতে স্বর্ণ ক’রে দেবে একদিন
সকল সৌভ্রাত্র তাই বিষাক্ত শত্রুর মতো তার কাছে
মৃত্যু- মহামৃত্যু ঋদ্ধি দেবে সকলকে, নবীন জন্মের নগ্নতাকে।

ফেনশীর্ষ সমুদ্রের ছবি চোখ বুজে দেখে লই
কোনও হৃষ্ট ডুবুরির পিচ্ছিল মগ্নতা
সিন্ধু: প্রেম নয়;- হয়তো অগণ্য বৈদূর্যমণি নব-নব প্রভাতের- নক্ষত্রের।
আমি ভালোবাসি- সমাদৃত হ’তে চাই- হয়তো-বা বরানন
গভীর বায়ুর শব্দ- অনলোজ্জ্বল লিঙ্গ শরীর- তরঙ্গের অমোঘ সমিতি

এইসব শুক্ল সফলতা
ব্যক্তির নিস্পৃহ মৃত্যু দিকে-দিকে খোড়লের অন্ধকারে
প্রেম চায়
সিন্ধু প্রেম নয়- সিন্ধুতীরবাসী পাখি, ধীবরের মতো
আমিও জীবিকা- লোভ- শিখর- অপ্রেম
ধীরে-ধীরে হয়ে গেছি কঠিন গিজের মূর্তি
জন্মের দুর্যোগ নাই- মরণের জন্ম নাই আর।