জীবন-সঙ্গীত

স্ট্রেচারের ‘পরে শুয়ে কুয়াশা ঘিরিছে বুঝি তোমার দু’চোখ:
ভয় নেই, মৃত্যু নয় কোনও এক অপদার্থ অন্যায় আলোক;
তা হ’লে কি এত লোক ম’রে যেত মশালের লালসায়- মাছির মতন?
অমৃতের সিঁড়ি ব’লে মানুষেরা গড়িত কি এত সাদা শ্লোক।

আজ মৃত্যু; এর আগে ম্যাটাডরদের মৃত্যু ছিল না কি স্পেনে?
লড়েছে বীরের মতো, রাঙা রৌদ্রে আপনারে সব চেয়ে হাম্বড়া জেনে
খেয়েছে আঁধার রাত্রি অকস্মাৎ। তবু এক হরিয়াল: বাংলার পাখি
শিকারীর-গুলি-সার-নীলাকাশ ভেবে নেয় মরণকে মেনে।

তবু মোরা দিবালোক উত্থাপন করি রোজ শৌণ্ডিকের মতো;
গেলাস ভরিয়া দেই;- মনে হয় কম্পাস, সিন্ধু, রৌদ্র,- জীবন ফলত
ধীমান মৃত্যুর চেয়ে। ম’রে গেছে; ভূস্তরের অন্ধকারে চূর্ণ তারা।
কিন্তু আমাদের আয়ু সানস্পট গিলে ফেলে সূর্যের মতন ব্যক্তিগত।