যখন বরাহ হল অবতার

যখন বরাহ হল অবতার- সেই থেকে সকল শূকর
সন্দেহের চোখে দেখি তুমি আর আমি
কর্দমপিণ্ডের মতো হেঁচে উঠে নরকের শ্লেষ্মার থেকে
সূর্যের আলোয়, হায়, তবুও আবার অধোগামী

গভীর স্থিরতা আছে ধর্মভীরু তত্ত্ববিদদের
ব’সে থাকে মুঠোর উপরে সুশ্রী কোমল দাড়ি রেখে
এক বার পৃথিবীর নারীদের দিকে চোখ মেলে
এক বার আকাশের সোনালি ভ্রমরদের দেখে

(এই সব সুস্থিরতা রয়ে গেছে- তবে
কিংবা পয়ঃপ্রণালীর দিকে চেয়ে মানুষের চোখ
অধম প্রণালী হয়ে যেতে পারে- অতিশয় অবহিত হলে
তাই যাহা স্ফটিকের মতো সাদা- তাহা সত্য হোক)

সেই থেকে নির্মলতা সৃষ্ট হয়ে গেল বায়ুস্তরে
আমাদের সামাজিক- জাতীয় জীবন
বহু দিন থেকে এই পৃথিবীতে- পামকুঞ্জে
করেছে আশ্রয় সংগঠন।

দীর্ঘ- দীর্ঘতর সব পামবীথি অই
(কোনও এক) সূর্যময় সমুদ্রের তীরে
খাদ্য-পানীয় সব ব্যবহৃত হয়ে আছে যখন টেবিলে
ধর্ম সমাজতত্ত্বের মতো জেগেছে শরীরে

কিন্তু তবু ঐ সব সমাজতত্ত্বের ম্লেচ্ছ শূকরেরা
আমাদের মানদণ্ডে দিতে আসে নিরঙ্কুশ মান
যখন প্রবাহ আসে খোঁয়াড়ের থেকে
আরও গাঢ় পাম জাগে- সিন্ধুর কল্যাণ

প্রভাতের বাতাসকে কোলে এনে আলিঙ্গন করে
আর্মানীয় তরুণীর বেহালার সুরে স্বর্গে উত্তোলিত হয়ে যায় মন
যেখানে শূকর পেল মকরক্রান্তির সূর্যে কৃমি, পরিহাস
সেখানে নিক্ষেপ করে হিম নিষ্ঠিবন।

যেখানে মানুষ পেল শূকরের মতো অব্যাহতি
বিষয়ী কাপড় পরে সোনালি সূতার
সোফা’র উপরে স্বর্ণ শ্যাম-মার্জারী’কে
দেখাল সমুদ্র দূর ক্যাম্বােডিয়ার

বংশানুক্রমিক দেহ সেইখানে তবে তার শুভ্র শয্যায়
পেয়ে যায় পরিষ্কার রমণীর তটিনীর মতন সততা
সেই নির্ঝরের থেকে সাবানের জন্ম হয়- ইন্দ্রধনুকের।
(এ-সব ঘুমের আগে দ্বৈতভাষাভাষীদের ক্যাম্পের কথা।)