কেবলই ভাঁড়ামি

কেবলই ভাঁড়ামি ক’রে হাঁ-করা মুখের ব্যাপ্তি দু’ দিকের কান ছুঁয়ে যায়
তবুও তো নিখিলের মূলে আছে সক্রিয় বিষ
বিতর্কে দন্তস্ফুট করে যদি কেউ তার মুখের বিবরে
একটি বিড়াল’ও কেন খুঁজে পায় হাসির জিনিস?

অথবা যাদের মন হয়ে আছে ভারি
দিন-রাত বিষয়ের স্তূপের ভিতরে
হাঁসের ডিমের মতো তাদের ম্লান দীর্ঘ মুখ
ব্রহ্মা’র অণ্ডকে পরিহাস করে?

তবে চ’লে এসো। আজ এই পৃথিবীর ধুলোর ভিতরে
কিংবা তার নক্ষত্রের মির্মিরের তলে
এক জন বামনকে বিদূষক-রূপে পাওয়া যায়
দুই জন মনীষীর টুপি ও চপ্পলে

কেননা এখন এই পৃথিবীর সৎ ও মহৎ আর মনীষীর
সময় প্রবেশ করে সর্ষের বীজের ভিতরে
তবু সেই সর্ষে’কে ভূতে পেয়ে যায় ব’লে দাড়ি-গোঁফ-কামানো চিবুকে
ছাগলের দাড়ি এসে চির-কাল নড়ে।