কবিতার খসড়া

জীবনের ঢের কাজ হ’য়ে গেলে পরে
মনে হয় মানুষের শরীরের ক্ষয়
পৃথিবীর পথে গিয়ে করণীয় অনেক কাজেই
বিধাতার মতো আর নয়।
তখন নিজের কাছে পৌঁছে ক্রমে মন
অন্ধকারে নক্ষত্রের অগ্নির মতন
স্থান পেয়ে সময়ের সমস্ত আকাশে
নিজেকে সংকীর্ণ ক’রে নিয়ে তবু গভীর পৃথিবী ভালোবাসে।
অপ্রেম বেদনা রক্ত ভয়ে ভুলে বিলোড়িত হ’য়ে
রাত্রিদিন কাছে চ’লে আসে ইতিহাস;
তাকে যা দেবার দিয়ে তারই ভেতর থেকে তবু
জ্ঞান শান্তি বাস্তবতা প্রেমের নিশ্বাস
পাওয়া যায় কোনো-কোনো লক্ষ্য উৎস ব্যক্তির কাছে।
ইতিহাসে শোকাবহ অন্ধ বেগ আছে;
যদিও আঁধার বড়ো, সংকল্প প্রেরণা প্রেম উদাসীন শক্তির মতন
ভেঙে ফেলে; এখনো ভাঙেনি এই অগ্নি এই মন।

[পূর্বপত্র। অগ্রহায়ণ ১৩৬৮]