কখনও শটিত রাতে

কখনও শটিত রাতে চেয়ে দেখি মেঝের উপর
গাছের ডালের ছায়া প্রশ্ন ক’রে ঘুরে যায় বহু ক্ষণ ধ’রে
তবুও রয়েছি নিরুত্তর
অদ্ভুত প্রণয়ী আমি- সমস্ত ব্রহ্মাণ্ড দ্রুত জিজ্ঞাসার স্বর
দুরূহ উত্তর তারা। প্রশ্ন ক’রে গিয়েছি নীরবে
নিজের অজ্ঞাতসারে- অসমবয়সী সব আলোকের কাছে
মনে নেই কবে
মোমের শরীর নিভে ক্ষার হলে- ঘুমের ভিতরে অনুভবে।

একটি বেবুন যেন সে-সময়ে মেহগেনি-গাছে।
শাখার পিছনে থাকে নিগ্রো-রমণীর মতো চাঁদ
বেবুনের কালো মুখে ঢাকা প’ড়ে আছে
এমন নির্জন সৃষ্টি নেমে আসে হৃদয়ের কাছে
মৃত্যু নয়; অথবা রিরংসা, রাগ, পরিহাস নয়
তবুও অতীত নয়- অতীতের থেকে পরিণতি
ক্রমে এই বেবুনের কাছে মনে হয়
এমন চাঁদের ঘুমে মহিলা ও বিদূষক জুড়াবে হৃদয়।

তবুও মৃত্যুর চেয়ে এমন প্রতিজ্ঞাপাশ ভালো:
অধিদেবতার মতো মেহগেনি স্থির;
মানুষের শেষ শিশু যখন রোমশ জমকালো
বেবুনে দাঁড়াত গিয়ে,- বেবুন-মুণ্ডের পিছে চাঁদিনির আলো।