কোনও এক গুলি এসে

কোনও এক গুলি এসে যখন হরণ ক’রে নিতেছিল যুবকেরে পাখির মতন
ক্যাম্প থেকে দুই ধনু দূরে এক পাহাড়ের নিচে
একটি নীলিমা জ্বেলে রাখিতেছে অপরাহ্নবেলা
খানিক হলুদ বমি ঢেলে ফেলে সে যেন হাসিল একা
আমাদের পৃথিবীর হাসি ঢের দূরতর- অনাত্মীয়
আমরা গেলাস ধ’রে অন্ধকারে- মরণের সাথে
যেন কোনও রজনীর উষ্ণ প্রস্রবণ থেকে উঠে আসি
গেঁটে-বাত আরোগ্য হয়েছে ব’লে
তনুময় তৃপ্তি- শান্তি নিয়ে
নারীরা বিস্মিত হয় আমাদের দিগন্তের অন্ধকার গান শুনে
মৃত্যু তবু নিরঙ্কুশ; যুবারে ফেলিতে আছে গ্রাসি।
চারি-দিকে উঁচু-উঁচু তরুদের সামুদ্রিক সরীসৃপ-সজীব পল্লব
পীত প্রদেশের বুকে রৌদ্র যেন জলপাই ফলাবার তরে
নারীদের মৈথুনের তরে, যুবকের মরণের তরে
একটি লুণ্ঠন হয়ে দ্বিধাহীন রতিবিম্বে স্থির- শক্ত
ক’রে রাখিতেছে পৃথিবীর সমস্ত পাহাড়।