কোনও আখ্যা দিতে গিয়ে

তারে মোরা কোনও আখ্যা দিতে গিয়ে
এক বার অভিধান খুলে দেখি-
ফেলে রাখি
রয়েছে আস্বাদ বোধ আমাদের-
মনে হয় তাই তার ছবি
উডকাট’এ কোনও এক কাকাতুয়া-নক্ষত্রের চিত্রকর
হয়তো-বা সারিকানায়ক এক কবি
রাখুক-না গেঁথে

তাকায়ে দেখেছি আমি হঠাৎ দুপুর-রাতে আমার বিছানা থেকে উঠে
চ’লে গেছে ‘বৃহন্নলা’ ‘সৈরিন্ধ্রি’ নামধেয় সব
বাদুড় বন্ধুর সাথে- পশ্চিমের দিকে
অগ্নি-স্ফটিক খুঁজেছে তবু ভোরবেলা জরথুস্ট্র- পতঞ্জলি- নিয়ে
এই সব মৃত বন্দরের ভূত গিয়েছে হারিয়ে
যখন বৃহৎ অন্ত্র আবার মানুষটাকে চেখে
পিনের কুশন থেকে এনেছে ছাড়িয়ে

যেই সব নীল ফুল ফুটে থাকে ঘাসের ভিতরে
ধবল লণ্ঠন নিয়ে যেই সব বক চরে নীলিমায়
যেই সব গৃহিণীরা আত্মমর্যাদায় ফেরে ঘরে
যেই সব অধ্যাপক নোট লেখে দিবা-রৌদ্রে- নিশীথের স্বপ্নের মতন
তারা সব সময়ের সুপ্রজনন

কেবল একটি লোক ভাবে: তারা ভূস্তরের চুনের মতন
অন্ত্রের ভিতরে তার গহ্বরের মতন শূন্যতা
না হলে খুলি’তে তার সময়ের বায়ু এসে
ব’লে যেত ঢের সমসাময়িক কথা
বিদীর্ণ জটায়ু আর গরুত্মানকে ভালোবেসে।