কর্পূরীর জলসায়

কর্পূরীর জলসায় যেতে হয়েছিল যেন অবশেষে ভৌতিক টানে
রাত্রি শেষ হয়ে গেল বহু প্রাথমিক ডিম চুবড়ির অন্ধকার ভরি
যেন ঢের জনরব- ছাড়পত্র হাতে নিয়ে বসেছিল- জলের চাটনি আর চুরুটের ঘ্রাণে
ঊষা এল অবশেষে গাঢ় লাল- মেঘের দুন্দুভি স্বাদে কারু-কারু কঙ্কাল বিদরি
আমি তাই বার হ’য়ে পড়িলাম- আতুর আত্মার মতো ঠেলা খেয়ে নিচু ঝোপে- বঁইচির কাঁটার ভিতর
অনেক সোনালি চিল সারা-রাত সসম্ভ্রমে ঘুমায়েছে- ঢের উঁচু নীড়ের বাতাসে
বৃহস্পতি নক্ষত্রের প্রিয় হ’য়ে- এই বার উড়ে যায় গোমেদের মতো মেঘে- সূর্যের তরে
একটি স্ফটিক শব্দে; যেন দূর রৌদ্রের কিশোরীরা শুধু এই ধ্বনি ভালোবাসে।