মহান মাতা শোক করে

এখানে মহান মাতা শোক করে সন্তানের তরে
জলের সৌন্দর্য দেখে অন্ধকারে তবু- তার পর
শোক তার প্রমত্ততা পেয়ে গেল ক্রমে
অধীর সুড়ঙ্গ বেয়ে মাথার ভিতর
এইখানে ইন্দ্রধনু দুই হাত স্তব্ধ ক’রে আকাশের বুকে
চেয়ে আছে সমুজ্জ্বল ঘড়িযন্ত্রে বিকশিত ধীমত্তার দিকে
যখন লাক্ষার ঘর প্রতিষ্ঠিত হয়ে ওঠে মানুষের নির্জন মেধায়
ধূপকাঠি প্রস্তাবনা নিয়ে আসে- মাঝ-শূন্যে ত্রিশঙ্কু’ও হেসে জোর পায়

এত সান্দ্র কারুশিল্প দেখেছ কি, লোকপিতামহ
কিংবা তুমি আরও গাঢ়, ময়
শুধাল ত্রিশঙ্কু সেই পুরাচার্যদের দিকে মুখ তুলে চেয়ে
কিন্তু তারা মাছের মতন চোখে বায়ুলোকে হল না বাঙ্ময়
এই দেশে আছে সূর্য- জাতিস্মর অরণ্যের কাঠ
রাজহংসী, জল, মধু, মোমের আরকে লিপ্ত মৃত ভাঁড়- সম্রাট
মানুষের আলো, অল্প আয়ু, আর ইহা ছাড়া কী জিনিস চায়
তবু কিছু ভিখিরিরা ছিল ব’লে এক-সাথে লাক্ষাঘর মর্মরের-দুর্গ ভেঙে যায়।