মনে নেই

মনে নেই সে আমাকে কবে বিদায় দিয়েছে
সে অনেক বছর আগের কথা
তার পর এখন আমার দেহের উপর মধুকূপি-ঘাস ছেয়ে থাকতে পারত
এই ধানসিড়ি নদীর পারে।

কিন্তু জীবনের অবয়ব নিয়ে বেঁচে রয়েছি আজও
ভীরু রজনীগন্ধার বাগানের অই পারে
সূর্যাস্তের মতো
কোনও ফুলের জন্য নয়
দু’-একটা দোয়েলের আধাে-ঘুমন্ত ডানার মির্মিরের জন্য
সোনালি আভায়
পৃথিবীর সমস্ত খড়ের প্রান্তর আলোড়িত করতে ভালো লাগছে আমার!

কোথাও যেন পাহাড় রয়েছে
পাম-গাছ স্তম্ভের মতো দাঁড়িয়ে আছে
কিন্তু এখানে বিক্ষত খড়ের পবিত্র নির্জনতা
লোহিত বিকালে বাদামি মৃত্তিকার তরঙ্গে বিছানো শয্যার গন্ধ

হে মৃত শালিখ,
দাঁড়কাকের বিচুর্ণ ডিম
আমাকে খানিকটা খড়ের বালিশ দাও- জাফরান, উষ্ণ
সমস্ত রজনী আমাদের মাংসে শিশির আমাদের কোনও দিন টের পাবে না আর।