মনে পড়ে

মনে পড়ে অন্য এক বিকেলের নগরীর পথে
সূর্য যেন অমল আগুন ছিল- আমাদের সকলের তরে
আমোদিত জীবাণুর মতো যেন বালিকারা এসে
শুল্ক জ্বেলে খেলে গেছে সফেন নির্ঝরে

উঁচু-উঁচু গাছ সব নিজ মনীষায়
নীরবে দাঁড়ায়ে ছিল শহরের পথের কিনারে
যেন কেউ এক দ্বার দিয়ে ঢুকে- জীবনের মানের ভিতর-
বার হয়ে যেতে পারে অন্য এক দ্বারে

কোনও এক উজ্জ্বল, নীরব, শঠ দীর্ঘতাকে
ভালো ক’রে চোখে দেখে নিয়ে
বেবিলন, উজ্জয়িনী, লন্ডন, রোম, কলকাতা
নিজেদের নিয়মের মাঝখানে বাতাসের মতন ফুরিয়ে

এনেছে নতুন বায়ু- দেবদারু-গাছের মাথায়
আশ্চর্য নতুন সূর্য মানুষের মুখের ভিতরে
অন্ধকার গলিগুলো পিঞ্জরের বাঘের মতন
মুক্তি পেল অন্য এক অরণ্যের তরে।

দীর্ঘ রাস্তারা সব ছড়ায়ে রয়েছে স্থির সায়নাচার্যের
দ্রুততর নক্ষত্রের গতির মতন
অবিকল ক্ষুদ্র দুয়ার দিয়ে ঢুকে
অন্য এক সিংহদ্বারে মানুষের মন

আরও অবহিত হয়ে থেমে যেতে পারে-
বাঘিনি, নাগিনি, রাঙা জীবাণুরা সব
নিজের নিয়ম থেকে উন্মোচিত হয়ে
কাজের গোলকে দীপ্ত বিদ্যুতের মতন নীরব।