মৃত্যুরে ছোঁবার আগে

মৃত্যুরে ছোঁবার আগে ঢের মূর্ছা অনেক গভীর
কণ্ঠ থেকে
ঢের অনুনয়; আমরাও আজ রাতে বিচূর্ণ
পুরুষকার হয়ে
আঁধারের প্রাণায়ামে যদি অন্ধ বায়ু হয়ে যাই
এই কালো দ্রুত বিপরীত নক্ষত্রের হর্ষ আমাদের
না চিনিতে
শীতের বাঁদর টুপি সহসা মাথায় পরে
প্রদীপ নিভায়ে ফেলে যদি
অনন্ত রাত্রির মুখে

সুদীর্ঘ দিনের ব্যাস কমে গেল দেখে
হেমন্তের হরিয়াল ভীত হয়ে পড়িবার আগে
আজ এই রৌদ্রের বিকালে

তেমন সমাপ্তি যদি আসে মানুষের
যেই সব ভ্রূণ আজও জন্মে নাই
তাহাদের দেশে চ’লে যেতে-যেতে শোনা যায়
আমাদের অস্পষ্ট প্রতীক্ষা কিছু চায় নাই
মৃত্যু কোনও নগরীকে
অবরোধ করে নাই

যেন কোনও নচিকেতা শমনের সাথে রূঢ় মেঘ লৌল্যে
অদ্ভুত গুঞ্জনে ক্ষীণ।
তবু তারা জীব নয়-
ক্ষোভ, তৃষ্ণা, সমীচীন হ্রেষা নয়

প্রভাতের জলগম্বুজের শীর্ষে ইন্দ্রধনু আমাদের
করেছে রচনা।
তবুও রচনা: ঘাস, মৃত্যু, রৌদ্র, হরিয়াল
সূর্যের সোনালি বিম্বে জীবাশ্মর অভিমান
জলমাকড়ের নৃত্যর
আশ্চর্য প্রেমের পরিমান।