না জানি কী সব

না জানি কী সব মঙ্গলের দিকে চেয়ে
আমরা নেমেছি মাকড়সা-মৃত সিঁড়ির পথটি বেয়ে
কী যে হিম পথ- কোথায় যে যাব- জানি না তো তাহা কিছু
স্ফুরেছিল প্রাণ অনেক বইয়ের- ঢের মানুষের কঙ্কালগুঁড়ি খেয়ে
উঠেছিল জ্ব’লে একদিন যেন কেরোসিনভোজী লোল সলতের মতো
কাচের চিমনি আড়াল করিয়া বাইরে ঝড়ের দানোয় পাওয়ার পিছু।

কী যে এ নতুন পথের প্রকোপ- মৃগেল টোপ গিলে নিয়ে কেমন ক্ষোভ যে আহা
হে মৃত মানুষ- বইয়ের পৃথিবী কেমনে জানাব তাহা
তোমরা বুঝেছ অনেক বেদনা যেন বেলোয়ারি বর্তুল নীড়ের থেকে
জেনেছি তবুও সূর্যের নীচে- মাটির ভিতরে কৃমিও জানে না যাহা
শানিত ক্ষুধায় বিমূঢ় সাপের দুমুখ নিজেরে গ্রাসে
উটপাখিদের গর ঠিকানা কি বালির আরামে চোখের কাঁপুনি ঢেকে?

ক্ষুরঘর্ষণ শুনি ঝামার সড়কে লোপাটের সারাদিন
অনার্য, জুলু, ভারতি, হাবসি, কাফির, নিগ্রো, চিন
মনে হয় যেন কোথাও নবীন পৃথুর জন্ম হবে?-
সাগর হানিছে। নীলিমার নীচে দোলনায় সমাসীন
সেও যেন রবে?- কিন্তু কোথায় সিন্ধুর পারে সোনালি খড়ের ভিড়
অন্তবিহীন তামাটে পথিক সাড়া দেয় শুধু জন্ম মৃত্যু মৈথুন জনরবে।

ঘাসের শিষটি কেউ নয় তার- সেতু, টাগড়ার দেনাপাওনায় কলরব করে নদী
বিরামবিহীন ক্যারাভেনগুলো ধূম্রবালুতে অস্তসূর্য ক্ষোদি
হয়তো দাঁড়াবে নব ঊষালোকে নোনাধরা পথে চেরিফুলদের পাশে?
বহু ইতিহাস ডিঙায়ে তাহারা চলিতেছে নিরবধি
কৃষ্ণবর্ণ খোজা, ক্রীতদাস, তূণীররক্ত, শ্বাপদ, মালতিশব
মিলন ঘটাতে চেয়েছে হয়তো তবু একদিন খোঁদল ও নীলাকাশে।