নিবিড়তর

হৃদয়ে যে স্রোত আছে অন্ধকারে লীন
হয়ে আছে ভেবে মন উড়ে যায় যেন নভোহাঁস;
সাদা বালিরঙা ডানা অনন্ত রোদ্দুরে
জ্বেলে দিয়ে হতে চায় আকাশে আকাশ।

হয়ে যাক একরাশি অগ্নি আর নীল,
কোনও দিকে নেই কোনও বাধা;
হয়ে যাক দুপুরের সূর্যপুরুষের
মতো অগ্নি- অন্তহীন অগ্নিজন্মদাতা।

শীত সমীচীনতায় ঘর বেঁধে, তবু
সময়ের অন্ধকার গ্রন্থি খুলে ফেলে
নব নব ক্রান্তিবলয়ে কি উজ্জ্বল প্রাণ?
অথবা কি মৃত্যু তার সূর্যে শূন্যে শেলে?

রাত্রির আঁধার ভেঙে তবুও প্রাণের এই বিদ্যুৎগতির
শব্দই নিবিড়তর শব্দ ইতিহাসে;
মৃত্যু আছে, তবু সেই মৃত্যু ভেদ ক’রে উড়ে যাওয়া,
সূর্য নেই, তবু সেই অয়নের সূর্যের বিশ্বাসে।