নির্দেশ

জীর্ণ শীর্ণ জীবনের মাকু নিয়ে এখন বাতাসে
তামাসা চালাতে আছে পুনরায় সময় একাকী।
তবুও সে ভোরবেলা হরিয়াল পাখি
ধূসর চিতল-মাছ- নির্ঝরের ফাঁসে
খেলা ক’রে কাকে দিয়েছিল তবে ফাঁকি?
বসন্তবউরী দু’টো এই ব’লে হা-হা ক’রে হাসে।

সেই হাসি জ্ব’লে ওঠে নির্ঝরের ‘পরে;
গড়ায়ে-গড়ায়ে গোল নুড়ি
উজ্জ্বল মাছের সাথে ভোরের নির্ঝরে
সময়ের মাকুটাকে ক’রে দিল উড়্খুড়্খুড়ি।
বিরক্ত সময় তাই খুঁজে নিতে গেল কোনও বিষয়ান্তরে
নিজের নিয়মাধীন হৃদয়ের জুড়ি।

আলো যদি নিভে যায় সময়ের ফুঁয়ে
তা হলে কাহার ক্ষতি- তা হলে কাহার ক্ষতি হবে।
এই কথা ভেবে যায় কালো পাথরের ‘পরে নুয়ে
মৈত্রেয়ী- নাগার্জুন- কৌটিল্য নীরবে।
তিন হয়, চার হয়, পাঁচ হয় তবুও তো দু’য়ে আর দু’য়ে।
হেঁয়ালী ও নিরসন নির্ঝরের নিক্কণের মতো বেঁচে র’বে।