অনন্ত আকাশে ভোর

অনন্ত আকাশে তার ভোরের সন্ধান নিতে গিয়ে দেখি আমি
দাঁড়ায়েছে নির্মম সোনালি সিংহ নিজে
ঢের নর-নারী সব রক্তাক্ত শেমিজে
তাহার পায়ের নিচে গিনি’র মতন জ্বলে বেলা অবেলার
এখন নীলিমালোক পশ্চিমের থেকে পূর্বগামী
পায়রার মতো সাদা মেঘগুলো ভীষণ উন্মুক্ত তরবার

ভয় ছেড়ে বরাভয় পেতে গিয়ে কেউ
উপনিষদের পাতা আওড়ায়ে ভাবে
প্রামাণিক না হয়েই ভয়াবহ প্রমাণ ফুরাবে
করুণা আমাকে তবু বলে
দেখেছ, এদের তবু দিও না ক’ ভয়
এক জন দেখে, শুধু দেখে না সকলে

অবহিত চোখ নিয়ে স্বর্ণময় সিংহ’র উদ্দেশে
চ’লে গিয়ে চেয়ে দেখি কোনও দিকে দৈত্যের সীমা
নেই ব’লে আকাশ নীলিমা
এমন গভীর রৌদ্র, এমন স্বর্ণাভ সিংহাসন
ছিঁচকে ছুঁড়ির মতো বিনে-অনুমতি নিয়ে এসে
করুণা কেবলই গিল্টি ক’রে যায় ব’লে সৃষ্টি সোনালি এমন।