প্লেটোনিক

তিরস্করিণী ছবি র’য়ে গেছে কিছু-কিছু মনের ভিতরে
মুহূর্তেই অন্তর্হিত হয়ে যায়- বিকলাঙ্গ নদীর ও-পারে
না ডাকিতে পোষা তিতিরের মতো কাছে চ’লে আসে
ধর্মযাজিকারা ঢের জেগে আছে মন্দিরের ম্লান অন্ধকারে
যত দিন মুদ্রা আছে ধর্মাশোকের রাজকোষে
তাহারা বয়স্থ হয়ে- সময়ের দোষে
হৃদয় রেখেছে তবু স্বচ্ছন্দ, মসৃণ স্নিগ্ধ ফলকের মতো
গলিত মোমের নিচে ছায়াদের ঢেকুরের মতন ফলত।

মায়াবীর জাদুবল প্রতিরোধ ক’রে দিয়ে অঙ্গুলিহেলায়
অবলীলাক্রমে সব শত্রুদের সঁপে দিয়ে শূলে
প্রদীপ নিয়ে ফেলে অনেক গভীর রাতে- অবশেষে তারা
হাড়ের চিরুনি টেনে খড়ির মতন সাদা চুলে
রাত্রিকে অধিগত করে চুপে- বুড়ো-বুড়ো বয়সের পর
আশীর্বাণী ঘুমায়ে গিয়েছে সব;- এখন বিড়াল নিশাচর
উৎকীর্ণ প্রেমের পিণ্ড চারি-দিকে;- নেপথ্যে যদিও প্লেটো কাশে
পৃথিবীর স্থবির- স্থবিরতম হংসও হো-হো ক’রে হাসে।