প্রেমিক ইঁদুর

কতকগুলো বড়-বড় প্রেমিক ইঁদুর গভীর ভালোবেসে খেলা ক’রে গেছে যেন
তার মুখের মাংস নিয়ে অনেক দিন;
তার পর যেন কোনও অন্ধকার গহ্বরের ভিতর ঢুকেছে
আরও উত্তেজিত উল্লাস নিয়ে উঠে আসবার জন্য
তাই মোটরকারের তরুণী প্রণয়িণী তার মুখের দিকে তাকাতে পারে না আর;
গ্যাসোলিন যত ক্ষণ ভরা হচ্ছে চোখ তার নিজের আত্মরক্ষা জানে
ফুটপাথের মাংসহীন মাংসের নিরানন্দ থেকে
কিন্তু স্তূপাকার মাংসের রাবিশ নয়:
কালো এক সুদূর অতীতের ভগ্নাংশ দেখতে চায়?
কিংবা সৃষ্টির সবুজ বীজ হয়তো কোনও ভবিষ্যতের?
কিংবা বর্তমানের কোনও নীল সমুদ্রের ভিতর- কোনও অরণ্যে-
অথবা কলকাতার পথিক মানবীদের মুখে?
অনেক পাপ স্বীকার করা হ’য়ে গেছে
হ’য়ে গেছে অনেক নরক-বাস
তবুও তার পর কোনও এক হাত ধ’রে স্বর্গের সিঁড়িতে প্রবেশ নিষেধ
পৃথিবীর কোনও মানুষের বাঁধা নয়- আড়াই হাত নিষেধ শুধু
তার নিজের হৃদয়ের।

কোথাও চক্রাকারে ঘুরে গিয়েছে শহরের সমস্ত দেয়ালের উপর দিয়ে সেই সিঁড়ি
কিংবা শহরের কোনও বিবর্ণ জানালায় উঁকি দিচ্ছে কোনও স্থবিরার হৃদয়ে;
কিন্তু হৃদয়ের সেই সাহস- সেই সজাগ ব্যবহার হারিয়ে ফেলেছে
ফুটপাথের এই মাংস-গলিত মানুষ আজ;
হৃদয়ের উপর দিয়ে ট্রামের চাকা চ’লে গেলেও টের পায় না আর।