পৃথিবীর সাধারণ পাথরে

পৃথিবীর সাধারণ পাথরে ও নদীর বুকের ‘পরে রোদে
আমাদের স্মৃতি আর শানানো হ’ল না কোনও কালে
চোখের আড়ালে চ’লে গেলে সব মনের আড়ালে
চ’লে যায়- কিন্তু যেই সাদা পাখি ঢের উঁচু পিপুলের ডালে
ব’সে থাকে ভোরবেলা- শরের ঝাঁপির ‘পরে সরালের মতন সরল
পৃথিবীর ওপারের মতো দূর আকাশের নীলিমা ডিঙিয়ে
এসেছে সে এইখানে- সৈন্ধবের মতো সাদা মেঘের জগতে,
একটি মুখের কথা রূপ স্মৃতি মনে ক’রে। কাদার মতন শীত জনমতামতে
সেই মুখ ডুবে গেছে কবে
হাজার বছর আগে- একটি যুগের মতো একটি দিনকে মনে হবে
মেদুর পাখির কাছে- তাহার সমস্ত সাদা পালকের ঢল
অনমনীয় আলো ঠোঁট-দু’টো রয়েছে নিশ্চল
অনেক আগের এক অধিক ধূসরতর শান্ত পৃথিবীর
ঝাপসা মাটির পথে এক জন রৌদ্রের নারীর
শরীরের কথা ভেবে। এখন কোথাও স্মৃতি নেই জেনে পাখি এসে পরি
দিয়ে যায় ব’লে তাকে সারা-দিন অনুভব করি।
সময় যুগীয় কাজ ক’রে যায় তবু নেই কোথাও সময়।
নারী ও পাখির রঙে বিকেলবেলার থেকে বাকি কিছু নয়।