সময়ের উলঙ্গ পাহাড়

মাঝে-মাঝে সময়ের উলঙ্গ পাহাড়দের থেকে
গাঢ় শীত নেমে আসে আমাদের দেশে
যেই সব যুবাদের কাঁধে ডানা নেই
তবুও চিলের মতো নিচের নীড়ের থেকে ফেঁসে
অনুভব ক’রে নিতে চেয়েছিল সূর্যের গরিমাময় লোক
তাপমান-যন্ত্র দেখে তুড়ি দিয়ে হেসে
(পৃথিবীর যন্ত্রে থুতু পেড়ে ফেলে হেসে)
এক ঢোঁকে গেলাসের জলের মতন
ব্যবহার ক’রে গেছে- কখনও করে নি সংরক্ষণ
(দেশ, পাত্র, আয়ু নির্বিশেষে)
নিজেদের জীবনের আগুনকে- অনেক নিষ্পাপ
হরিয়াল ডানা বার ক’রে নিয়ে সমুদ্রের দিকে
উড়ে যায় দেখে আমি ভেবেছি সে-যুবাদের কথা
হৃদয়ে অনেক আশা খেলা করেছিল ব’লে যারা স্পষ্ট খেলে
মানব-হৃদয় নিয়ে পেয়েছিল অতুল ক্ষমতা।

তারা আজ মৃত সব- তবু
অথবা আধেক মৃত হয়ে পৃথিবীতে
সর্ষের বীজটিকে পরিমাণ ক’রে নিতে গিয়ে
ব্রহ্মাণ্ডের মতো বড়ো জরিপের ফিতে
বার ক’রে অভিভূত হৃদয়ের থেকে
অভিভূত হয়েছে হৃদয়
যাবৎ না দেয়ালের অসীম, অনন্ত চতুষ্কোণ
হয়ে যায় গোলাকার, অথবা ত্রিকোণ
অথবা ত্রিকোণাকার গোল পরিধির মতো হয়
অথবা আমাকে তারা তাহাদের এক জন মনে ভেবে ইশারায় ডেকে
টেনে নেয় পোকাদের টেবলো’র মঞ্চের উপরে
জ্ঞানপাপী জন্তুর মতো তবু নেপথ্যের থেকে
কী ক’রে জানাব আমি মৃত নই- মানুষের মতো কণ্ঠস্বরে।